اِنَّ الصَّلٰوةَ تَنْهٰی عَنِ الْفَحْشَآءِ وَ الْمُنْكَرِ.
নিশ্চয়ই সালাত অন্যায় ও অশ্লীল কাজ থেকে বিরত রাখে। -সূরা আনকাবূত (২৯) : ৪৫
নামাজে “হুযূরী দিল” ছাড়া প্রকৃত সালাত হয় না
নামাজ শুধু দেহের কয়েকটি কর্ম নয়—এটা অন্তরের এক গভীর নিবেদন। যেমন কেউ যদি দেহ দিয়ে রুকু-সিজদা করে কিন্তু তার মন অন্যদিকে ছুটে বেড়ায়, তাহলে সেই নামাজ শুধু খোলস, তার ভেতরে রূহ নেই।
হাদীসে এসেছে:
“لا صلاة إلا بحضور القلب”
“লা সালাতা ইল্লা বিহুযূরিল ক্বালবি”
অর্থাৎ—“হৃদয়ের উপস্থিতি ছাড়া নামাজ হয় না।”
এমনকি ওলী-আউলিয়াগণ বলেছেন, যদি তুমি পুরো নামাজ পড়ো অথচ অন্তর আল্লাহর দিকে একনিষ্ঠ না থাকে, তাহলে তোমার সে নামাজ বাহ্যিক কায়দা হলেও, আধ্যাত্মিকভাবে অসম্পূর্ণ থেকে যায়।
হুযূরী দিল মানে অন্তরের স্থিরতা, আল্লাহর সামনে দাঁড়াবার অনুভূতি, নিজের গোনাহের লজ্জা ও আল্লাহর দরবারে উপস্থিতির গভীর চেতনা। এমন নামাজই মানুষকে বদলায়।
নামাজ শুধুই দায়িত্ব নয়—এটা রুহানিয়াতের দরজা
অনেক সময় দেখা যায়, কেউ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েও মিথ্যা বলে, সুদ খায়, মানুষকে ঠকায়। কেন? কারণ তার নামাজে মন ছিল না। আল্লাহ বলেন,
“নামাজ মানুষকে অশ্লীলতা ও অন্যায় থেকে দূরে রাখে।”
তাহলে যে নামাজ এই কাজগুলো থেকে দূরে রাখছে না, সেটি নিশ্চয়ই প্রকৃত নামাজ নয়।
কিভাবে “হুযূরী দিল” অর্জন করবেন?
∆ এটা অত্যন্ত কঠিন কাজ তদোপুরি একজন হক্কানী ওলি আউলিয়ার সহবতে কঠিন সাধনার মাধ্যমেই হাসিল করা সম্ভব।
∆ নামাজ শুরুর আগে কিছুক্ষণ ধ্যান (মোরাকাবা) করুন— আপনি কার সামনে দাঁড়াতে যাচ্ছেন একটু ভাবুন।
∆ দিল মনকে স্থির রাখুন অশিলতা বেহায়াপনা থেকে দূরে থাকুক।
৩. জমিনে চোখ রাখুন ও অন্তরে আল্লাহকে ডাকুন—”হে আল্লাহ! আপনি ছাড়া কেউই আমার উপাস্য নন।”